হুমায়ুন কবীর বেশভূষাও অনেকটা দরবেশের মতোই। সবাইকে পরিচয়ও দিতো পীর হিসেবে। আবার, জীন পালে বলেও জানায়।
অল্পদিনেই টাকা পয়সার মালিক বানান ছাড়াও জীবনের সকল দুঃখ, কষ্ট দূর করে সফলতাও এনে দিতে পারতো এই পীর।
মূলত, এসব কিছুই তার প্রতারণা ধরন। তার এরকম ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্বও হয়েছে অনেকেই।
প্রতারক দরবেশ হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘গ্লাসের মধ্যে মাছ থুয়ে, ভেলকি করে লোকজনকে দেখাই। সঙ্গে সত্য-মিথ্যা কথা বলে চিকিৎসা নামে টাকা দেয়ার কথা বলি।‘
চক্রের প্রধান কথিত দরবেশ হুমায়ুন কবীরকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের উপ কমিশনার (গুলশান) মশিউর রহমান জানান, বিভিন্ন সময় জীনের বাদশাহ, কবিরাজ সেজে কখনো কখনো মেডিক্যালের লোক, বীমা কম্পানির লোক অথবা সরকারি পদস্থ লোকদের প্রতারিত করে। নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমানের অর্থ আদায় করে নেই এই চক্র।
তবে জীনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হয় এরকম প্রলোভনে না পড়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।